ফরিদপুর প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে লকডাউনের বিধি নিষেধ পালনে জেলা পুলিশ ছিল সদা জাগ্রত। গত ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত শহর সহ জেলার ৯টি থানা চেক পোস্ট ও টহলের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করে। এসময় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর বিধি-নিষেধ অমান্য করায় জেল জরিমানা আদায় করা হয়। গত ১৪ দিনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ৩০৮ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪৬০ জন ব্যক্তিকে ২,৯৯,৯৪০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ফরিদপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক ১৪৮৭৯ জন ব্যক্তি ও ৪৫০৯ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ী চেকপোস্টে বিধি নিষেধ সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। লকডাউন চলাকালীন বিধি-নিষেধ অমান্য করায় পুলিশ কর্তৃক ৮২ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ৩৬৫ টি গাড়ী (ইজিবাইক,মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য গাড়ী) আটক করা হয় এবং ৬২ টি গাড়ীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। ফরিদপুর জেলা পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব, বাংলাদেশ আনসার ও বিজিবির টহল টিম মাঠে কাজ করে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন নিশ্চিতকল্পে প্রতিটি থানায় ০২ জন করে পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত টিম প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (পিপিই) পরিধান করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দূর থেকে হেলার দিয়ে ঘোষণা করে সর্তকতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। সাথে সাথে আশেপাশের বাড়ির মানুষজন যেন সচেতন থাকে সে বিষয়েও প্রচারণা চালাচ্ছেন এই করোনা টিম। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হচ্ছে যেন এলাকার মানুষ নিজেরাই নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ জুলাই থেকে সরকার লকডাউন শিথিল করেছে। তবে এ সময় যানবাহন, হাট বাজারসহ বিভিন্ন বিপণী বিতানে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।
তিনি এসময় বার বার সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত ভালো করে পরিষ্কার করাসহ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রান্তে সাস্থ্যবিধি অনুসরন করার জন্য অনুরোধ করেন।
©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®
Leave a Reply